প্রকাশিত : মঙ্গলবার , ১১ নভেম্বর ২০২৫ , রাত ১১:৪১।। প্রিন্ট এর তারিখঃ শনিবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৫ , রাত ০৮:৫০

বোয়ালমারীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সংবাদ সম্মেলন: “আওয়ামী লীগের আমলে যেমন ছিলাম, এখন তার চেয়ে দ্বিগুন ভালো অবস্থানে আছি”


স্টাফ রিপোর্টার: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার পরমেশ্বরী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া শ্রীনগর সার্বজনীন কালী মন্দির প্রাঙ্গণে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে এলাকায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির পরিবেশ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো, এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও তারা নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করছেন।

লিখিত বক্তব্যে বক্তারা উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমরা মোটামুটি ছিলাম। তবে বর্তমানে  এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে বসবাস করছে। তারা বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে আমরা যেমন ছিলাম, এখন তার চেয়ে আরও  দ্বিগুন ভালো অবস্থানে আছি। প্রশাসন ও স্থানীয় মানুষ মাওলানা আবুল  কালাম এর ছেলে মুশফিক রহমান জিহাদ মিয়া আমাদের পাশে রয়েছে।”

বক্তারা সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কুচক্রী মহল কর্তৃক ছড়ানো অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ময়েনদিয়া বাজারের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও তার ছেলে মুশফিকুর রহমান জিহাদকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা বলেন, “আমরা এই মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানাই। কেউ আমাদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতির জন্য হুমকি। আমরা বিভেদ নয়, শান্তি চাই।”

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় বরাবরই এই দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও কেউ যেন সম্প্রীতির সম্পর্ক নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তারা অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা; মোনজ সাহা, রাম চক্রবর্তী, ভোলানাথ সাহা, নিরাপদ কর্মকর, কৃষ্ণ সাহা, অনিমেশ সাহা, সুধা দত্ত ভৌমিক, কুমারেশ ভৌমিক, মনজিৎ সাহা প্রমুখ।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, বোয়ালমারী ও আশপাশের এলাকায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির ঐতিহ্য অটুট থাকবে এবং এই এলাকার মানুষ মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলবে।